বাংলাদেশে তৃতীয়বারের মতো নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতা
তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশে আয়োজিত হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা
সংস্থা নাসা আয়োজিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা ‘নাসা স্পেস
অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৭’। বিশ্বের তিন শতাধিক নগরীর মতো বাংলাদেশের ঢাকা,
চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, খুলনা ও বরিশালে বড় পরিসরে আয়োজিত এই
প্রতিযোগিতা আগামী ২৯ ও ৩০ এপ্রিল ২০১৭ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিযোগিতার আঞ্চলিক
পর্যায়ের বিজয়ীরা চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। গতবারের
মতো বাংলাদেশে এই প্রতিযোগিতার আয়োজক হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন
অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)।
এবারের নাসা
স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতার বিস্তারিত জানাতে শনিবার (২৫ মার্চ
২০১৭) বেসিস মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বেসিস সভাপতি জনাব
মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল গ্রুপের
চেয়ারম্যান জনাব সবুর খান, বেসিসের পরিচালক ও বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের
আহ্বায়ক জনাব রিয়াদ এস এ হোসেন, বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা জনাব
আরিফুল হাসান অপু, ডিভাইন আইটি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা জনাব ইকবাল আহমেদ
ফখরুল হাসান, ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর জনাব এম
আশরাফুল আমিন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সফটওয়্যার
ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ও অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. তৌহিদ ভুইয়া।
বেসিস সভাপতি জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, আন্তর্জাতিক এই প্রতিযোগিতার
মাধ্যমে বাংলাদেশের সক্ষমতা তুলে ধরার সুযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক
নানা প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ সেরা হয়েছে। আমরা প্রয়োজনীয় মেন্টরিং, বিচারিক
প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেরা প্রকল্পগুলো তুলে আনবো। আমাদের তরুণ উদ্ভাবকরা
তাদের উদ্ভাবনীর মাধ্যমে এবার বিশ্বজয়ী হবে সেই প্রত্যাশা করি।
ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান জনাব সবুর খান বলেন, নাসা স্পেস অ্যাপস
চ্যালেঞ্জ একটি প্লাটফর্ম। এই প্লাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে আমরা ভালো উদ্যোগ
আনতে পারবো। শুধু নাসার এই প্রতিযোগিতায় নয়, প্রকল্পগুলো উন্নয়নের মাধ্যমে
আমরা সেটিকে ব্যবসায়ে রূপান্তর করাতে পারবো।
বেসিসের পরিচালক ও
বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের আহ্বায়ক জনাব রিয়াদ এস এ হোসেন বলেন, আমরা শতাধিক
ইউনিভার্সিটিতে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ডেটা বুটক্যাম্প আয়োজন করবো। সেখান
থেকে ৫০টি দল বাছাই করা হবে। এরপর ঢাকায় ফাইনাল ডেটা বুটক্যাম্পের মাধ্যমে
৫টি ক্যাটাগরিতে ৫টি করে দল নির্বাচন করা হবে। তারা নাসার ফাইনাল
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।
বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের
প্রতিষ্ঠাতা ও নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের যুগ্ম-আহ্বায়ক জনাব আরিফুল
হাসান অপু বলেন, নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ বর্তমানে বিশ্বের সর্ববৃহৎ
হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা। গতবছর আমরা পিপল চয়েজ ক্যাটাগরিতে শীর্ষ ৩ টিমের
মধ্যে স্থান পেয়েছিলাম। এবছর আমরা প্রথম অবস্থানে যেতে চাই। সেই লক্ষ্য
নিয়েই আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি। এবারের প্রতিযোগিতায় প্রতিটি টিমে ৪
থেকে ৭ জন থাকতে হবে। মেয়েদেরকে উৎসাহিত করতে এবার টিমে একজন মেয়ে থাকলে
অতিরিক্ত ১০ শতাংশ নাম্বার দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এবারের
প্রতিযোগিতায় বেশ কয়েকটি বিষয়ে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করবেন প্রতিযোগিরা।
একক বা দলবদ্ধভাবে নিবন্ধনের মাধ্যমে যে কেউ নাসার এই প্রতিযোগিতায় অংশ
নিতে পারবেন। আগ্রহীরা
http://studentsforum.basis.org.bd/ ওয়েবসাইট থেকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করতে পারবে। আগামী ৫ এপ্রিলের মধ্যে নিবন্ধন করতে হবে। প্রতিযোগিতা সম্পর্কে
http://spaceappschallenge.org ওয়েবসাইট থেকে বিস্তারিত জানা যাবে।
এবারের প্রতিযোগিতার সহযোগিতায় রয়েছে বেসিস স্টুডেন্টস ফোরাম, বাংলাদেশ
ইনোভেশন ফোরাম ও ক্লাউড ক্যাম্প বাংলাদেশ। এছাড়া প্লাটিনাম স্পন্সর হিসেবে
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও গোল্ড স্পন্সর হিসেবে রয়েছে
প্রিজম ইআরপি। অ্যাকাডেমিক পার্টনার হিসেবে আছে ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনির্ভাসিটি
অব বাংলাদেশ। #
মোস্তাফা জব্বার