স্কুল কলেজের পড়ালেখা শেষ করে মেধাবীরা অনেক ঘাত প্রতিঘাত সহ্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখেন। প্রথম দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের
অগোছালো নিয়ম নিতি প্রতিনিয়ত ই খারাপ লাগতে থাকে, পরে যখন দেখে কিছুই করার নেই তখন হহাস্যে মেনে নেয়। কারন
বিশ্ববিদ্যালয়ের মত মজবুত ভিত যখন একবার কোন রকম লরেই যায়, সেটাকে যায়গায় ফিরিয়ে আনা মুশকিল। তাই কতিপয়
বুদ্ধিজীবী ও ব্যবস্থাপকদের চেষ্টায় এই ভিত কে কোন রকম টিকিয়ে রাখার প্রবল প্রয়াস চলতে থাকে।
প্রতিটি বিভাগের বিভাগীয় প্রতিনিধিও সেরকম একজন।
সকাল ৯ টার ক্লাস ৪ টায় করার মত ধৈর্য, জাতীয় পর্যায়ের কোন অনুষ্ঠান পরিচালনার সক্ষমতা, লিডিংসীপ এবং সর্বপরি ভাল
ফলাফল। এই সবগুলো গুন যার মদ্ধে আছে তাকেও কি বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্নপদক কিম্বা রৌপ্য পদক দিবে। সেটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্ত্রৃপক্ষের
উপর নির্ভর করে।
আর যিনি বিভাগীয় প্রতিনিধী(সি আর) থাকে তাকে উপরক্ত গুনাবলি ছারাও পুরো বিভাগকে নিয়ন্ত্রন, ক্লাস সিডিউল, ক্লাস শেষে
পরবর্তি কোন কাজের জন্য বিভাগীয় অফিসে অপেক্ষা করা, কোন মহৎ কাজের জন্য টাকা তোলা, কোন প্রোগ্রাম পরিচালনা করা,
গাধা কিম্বা সমজাতীয় প্রানী সদৃশ্য কাজ করা, সময়মত সকল প্রকার কার্যে উপস্থিত থাকা, সকল ছাত্র-ছাত্রীর মুখনিসৃত বাণী শোনা,
দিনে পাচটি প্রোগ্রাম হলে পাচবার সবাইকে জানানো। সময়মত স্যারকে ফোন করা, ক্লাসের আগে স্যারকে ডাকতে যাওয়া, ছাত্ররা
দুই-তিন ঘন্টা অপেক্ষা করার পর বিভাগীয় প্রতিনিধী দ্বিতীয় বারের মত স্যারকে ডাকতে গেলে সুমধুর, কটু, অতিকটু বাক্য শোনা,
যেকোন প্রকার ব্যর্থতার দায় নিজের মাথায় নেয়া, সর্বপরি নিজের পড়ালেখা বিষর্জন দেয়া।
এত কিছুর পরও মহোদয়গন সেই ছাত্রের(বিভাগীয় প্রতিনিধী) উপর প্রসন্ন হবেন কিনা, একমাত্র তার উপর নির্ভর করে।
হয়তোবা সারা জীবনে একবার সালাম না দেয়ার অভিযোগে তার পরীক্ষার খাতা রিক্ত হস্তে অর্পণ করবেন।
এভাবে করে সেই বিভাগীয় প্রতিনিধীর ছাত্র থাকাকালিন লিডারসীপের পর আর কর্ম জীবনে লিডারসীপ করা হয়না। কারন তার
সাংগঠিক দক্ষতা যতই ভাল হোক না কেন কাগজ পত্রের ফলাফল ভাল হয়না। কার্যত যারা প্রথম বিভাগে প্রথম হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে
কর্মজীবন কাটানোর চান্স পায় তাদের জ্ঞানের রাজ্য যতই বড় হোক না কেন দেয়ার পরিমান কখনই বেশি করতে পারে না।
সাংগঠনিক অদক্ষতা তাদের অলস বানিয়ে ফেলে, অর্জিত সম্মান কে ব্যবহার করার চেষ্টা করে কার্যস্পৃহা কমে যায়। ফলে ছাত্র
প্রতিনিধী কেই বেশি দায়িত্ব পালন করতে হয়। কার্যত তাদের কোনই সুফলের ভাগিদার করা হয়না। বরং নেতৃত্বের ভারে নিজে কখন
যে ডুবে যায়, তা সে নিজেও জানেতে পারে না।
স্বয়ং বিচার করুন আসলে এই ব্যবস্থা আমাদের গবেষনা ধর্মি শিক্ষা ব্যবস্থার উপর কতটা প্রভাব ফেলতে পারে।
Ripon Chandra das
অগোছালো নিয়ম নিতি প্রতিনিয়ত ই খারাপ লাগতে থাকে, পরে যখন দেখে কিছুই করার নেই তখন হহাস্যে মেনে নেয়। কারন
বিশ্ববিদ্যালয়ের মত মজবুত ভিত যখন একবার কোন রকম লরেই যায়, সেটাকে যায়গায় ফিরিয়ে আনা মুশকিল। তাই কতিপয়
বুদ্ধিজীবী ও ব্যবস্থাপকদের চেষ্টায় এই ভিত কে কোন রকম টিকিয়ে রাখার প্রবল প্রয়াস চলতে থাকে।
প্রতিটি বিভাগের বিভাগীয় প্রতিনিধিও সেরকম একজন।
সকাল ৯ টার ক্লাস ৪ টায় করার মত ধৈর্য, জাতীয় পর্যায়ের কোন অনুষ্ঠান পরিচালনার সক্ষমতা, লিডিংসীপ এবং সর্বপরি ভাল
ফলাফল। এই সবগুলো গুন যার মদ্ধে আছে তাকেও কি বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্নপদক কিম্বা রৌপ্য পদক দিবে। সেটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্ত্রৃপক্ষের
উপর নির্ভর করে।
আর যিনি বিভাগীয় প্রতিনিধী(সি আর) থাকে তাকে উপরক্ত গুনাবলি ছারাও পুরো বিভাগকে নিয়ন্ত্রন, ক্লাস সিডিউল, ক্লাস শেষে
পরবর্তি কোন কাজের জন্য বিভাগীয় অফিসে অপেক্ষা করা, কোন মহৎ কাজের জন্য টাকা তোলা, কোন প্রোগ্রাম পরিচালনা করা,
গাধা কিম্বা সমজাতীয় প্রানী সদৃশ্য কাজ করা, সময়মত সকল প্রকার কার্যে উপস্থিত থাকা, সকল ছাত্র-ছাত্রীর মুখনিসৃত বাণী শোনা,
দিনে পাচটি প্রোগ্রাম হলে পাচবার সবাইকে জানানো। সময়মত স্যারকে ফোন করা, ক্লাসের আগে স্যারকে ডাকতে যাওয়া, ছাত্ররা
দুই-তিন ঘন্টা অপেক্ষা করার পর বিভাগীয় প্রতিনিধী দ্বিতীয় বারের মত স্যারকে ডাকতে গেলে সুমধুর, কটু, অতিকটু বাক্য শোনা,
যেকোন প্রকার ব্যর্থতার দায় নিজের মাথায় নেয়া, সর্বপরি নিজের পড়ালেখা বিষর্জন দেয়া।
এত কিছুর পরও মহোদয়গন সেই ছাত্রের(বিভাগীয় প্রতিনিধী) উপর প্রসন্ন হবেন কিনা, একমাত্র তার উপর নির্ভর করে।
হয়তোবা সারা জীবনে একবার সালাম না দেয়ার অভিযোগে তার পরীক্ষার খাতা রিক্ত হস্তে অর্পণ করবেন।
এভাবে করে সেই বিভাগীয় প্রতিনিধীর ছাত্র থাকাকালিন লিডারসীপের পর আর কর্ম জীবনে লিডারসীপ করা হয়না। কারন তার
সাংগঠিক দক্ষতা যতই ভাল হোক না কেন কাগজ পত্রের ফলাফল ভাল হয়না। কার্যত যারা প্রথম বিভাগে প্রথম হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে
কর্মজীবন কাটানোর চান্স পায় তাদের জ্ঞানের রাজ্য যতই বড় হোক না কেন দেয়ার পরিমান কখনই বেশি করতে পারে না।
সাংগঠনিক অদক্ষতা তাদের অলস বানিয়ে ফেলে, অর্জিত সম্মান কে ব্যবহার করার চেষ্টা করে কার্যস্পৃহা কমে যায়। ফলে ছাত্র
প্রতিনিধী কেই বেশি দায়িত্ব পালন করতে হয়। কার্যত তাদের কোনই সুফলের ভাগিদার করা হয়না। বরং নেতৃত্বের ভারে নিজে কখন
যে ডুবে যায়, তা সে নিজেও জানেতে পারে না।
স্বয়ং বিচার করুন আসলে এই ব্যবস্থা আমাদের গবেষনা ধর্মি শিক্ষা ব্যবস্থার উপর কতটা প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রসঙ্গঃ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রতিনিধী
4/
5
Oleh
Ripon Chandra das